ফ্রান্সের দক্ষিনের একটি গ্রাম বারবিজোঁ। এখানেই গড়ে ওঠে নতুন একটি ঘরানা বারবিজোঁ স্কুল অফ রিয়্যালিজম। যেখানে একঝাঁক পেইন্টার শক্তিশালী শিল্প আন্দোলন রিয়েলিজমের জন্ম দেয়। রিয়েলিজম আর্ট একটি বাস্তববাদী ভঙ্গীমা।
শিল্প স্বপ্ন নয়। শিল্পের শরীর হতে স্বপ্নময় আবেশের আবরন তুলে নিতে হবে। অর্থাৎ এবার শিল্পীরা রোমান্টিকতার প্রতি আঘাত হানলো। ভেতর হতে গরজ অনুভূত হলো প্রকৃতির মতো স্বচ্ছ ; খোলামেলা নগ্ন হতে হবে। শিল্পীদের এই আয়োজনের নাম রিয়েলিজম। বাস্তববাদে যেন তেমন নান্দনিক চাকচিক্য ও মোহ নেই। প্রকৃতির প্রতি নির্মোহভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে এই ইজমের শিল্পীরা সমাজের ওই জায়গাটায় আলোকিত করলো যেখানে কষ্টের দাগ আছে , খেটে খাওয়া মানুষের চিহ্ন আছে। আর যেসব নিসর্গ দৃশ্য শিল্পীরা আঁকলেন তাতেও প্রাধান্য পেলো নাঙ্গা ঘর-গেরস্থালী, চাষাভূষার সুখ-দুঃখ। তবে রিয়েলিজম শিল্পীদের অন্য একটি নাম ফরাসীরা দিয়েছিলো যাকে বলে বারবিজোঁ স্বুল বা পরম্পরা। ১৮৩০ এর দশকে কয়েকজন শিল্পী প্যারিস ছেড়ে ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলো। এই স্কুলে শিল্পীরা হলেন রুশো, কামিল কোরো, মিলে প্রমূখ।
১৮৩০ সালে এ ধারার শিল্পীরা কেনো প্যারিস ছেড়েছিলেন এ সম্পর্কে শিল্প-সমালোচক জুল-অঁত্তোয়ান কাসতাঁইনারি (১৯৩০-১৮৮৮) বলেছেন, ১৮৩০ এর রাজনৈতিক গোলযোগ শিল্পীদের প্যারিস নগরী সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ গড়ে তোলে। আর অন্যদিকে একাডেমীর ধরা-বাঁধা নিয়মও অপেক্ষাকৃত সংবেদনশীল মানুষকে তুষ্ট করতে পারছিলো না। প্রকৃতির প্রতি সত্য হয়ে ওঠো, এই মন্ত্র মর্মমূলে ধারন করে চিত্রশিল্পীকে নতুন আলোয় নিয়ে এলো বারবিজোঁ শিল্পীরা। এবারই তারা প্রথম প্রকাশ্য দিবালোকে প্রকৃতি আঁকলো, মানুষকে চিত্রিত করলো। তাদের মতে চিত্র হবে বাস্তবতার উপস্থাপক। বাস্তবে যে জিনিসটি যেভাবে দেখা যাবে চিত্রে অনুরুপভাবেই তাকে উপস্থাপন করতে হবে। চিত্র অঙ্কনের সময় প্রকৃতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে। বৈচিত্র অন্তহীন প্রকৃতির রূপকে আবেগ বর্জিতভাবে উপস্থাপন করে শিল্পে বাস্তবতা বা এর শক্ত ভিত্তি তৈরী করতে সক্ষম হয় প্যারিসের বিলাসী জীবন ত্যাগী এই ধারার শিল্পীরা।
রিয়েলিজমের ইল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেনঃ
১. গুস্তাভ কুর্বে (১৮১৯-১৮৭৭)
২. ডওমিয়ের (১৮০৮-১৮৭৯)
৩. ক্যামাইলে করোট (১৮১৪-১৮৭৫)
৪. মিলে (১৮১৪-১৮৭৫)
গুস্তাব কুর্বে (১৮১৯-১৮৭৭) :
বাস্তববাদী চিত্রকলার অন্যতম শিল্পী গুস্তাভকুর্বের হাত ধরেই প্রধানত রিয়েলিজম আন্দোলন পূর্নতা পায়। ফরাসী শিল্পী গুস্তাভ কুর্বে নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার কাজে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি দাবী জানালেন, “একজন শিল্পী অবশ্যই শিল্প নির্মানে বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে”। ১৮৫৫ সালে প্যারিসে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে তার চিত্র নির্বাচিত হয়নি। তার ছবিকে জুড়িগন অতি বাস্তব এবং সমাজতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করেন। জুড়িগন কর্তৃক তার ছবি প্রথ্যাখাত হলে তিনিিউন্মুক্ত স্থানে একটি প্রদর্শনীর আযয়াজন করেন এবং নামকরন করেন “প্যাভিলিয়ন অফ রিয়েলিজম”।
দ্যা স্টোন ব্রেকারস :
সালাম, ভাই আরো ভালোভাবে ডিটেইসল লিখলে ভালো হয়। বাংলায় শিল্পকলা নিয়ে আপনার লেখা ভালোই হচ্ছে তবে ডিটেইলস দরকার। তথ্যসূত্র প্রয়োজন।
ReplyDeleteলেখা টা ভালো কিন্তু আরো তথ্যের প্রয়োজন
ReplyDelete