Sunday 29 August 2010

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার ভূমিকা :

প্রারম্ভিক কথা :

প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতেই গুহামানব তার প্রয়োজনের তাগিদে শিল্প সৃষ্টি করে এসেছে। এই শিল্প সৃষ্টির তাগিদ যদিও মূলত‍ঃ খাদ্যের যোগানকে নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত যাদু বিশ্বাস, তবে তার পাশাপাশি এই যাদু বিশ্বাসকে তারা ব্যবহার করেছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা, মৃত্যু বা অনিবার্য ধ্বংসের গতি রোধ করার বা তার মুখোমুখি হয়ে জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার বাসনা হতে এমন ইঙ্গিতও মেলে। এভাবেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের শিল্পকর্মে পরোক্ষভাবে হলেও তার প্রতিবাদী সত্ত্বার প্রতিফলন ঘটতে দেখা যায়। এই ধারাবাহিকতা পরিলক্ষিত হয় পৃথিবীর সকল অঞ্চলের সকল মানব গোষ্ঠীর শিল্পকর্মে।

ভূমিকা :

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার ভূমিকা অপরিশীম। মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার ভূমিকার অনেক প্রমানও মেলে। আলোচনার সাপেক্ষে এসকল প্রমানও নিম্নে উল্লেখিত হবে। বর্তমান বাংলাদেশের তথা বাংলার শিল্পকলার প্রাপ্ত প্রাচীনতম নিদর্শন মাত্র হাজার দেড়েক বছরের পুরাতন। আর তাও মূলতঃ বাংলায় প্রতিবাদী শিল্পকলার সৃষ্টি। যার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ও প্রভাব পরিলক্ষিত হয় এদেশের মুক্তি সংগ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব স্বাধীনতা উত্তর কালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বা মুক্তি আন্দোলন ভিত্তিক শিল্পকর্মের ‍অসংখ্য নজীর রয়েছে।

৫২র ভাষা আন্দোলন হতে শুরু করে ৭১ এর দীর্ঘ মাস যুদ্ধকেও তরান্বিত করেছে আমাদেরেএসই সব বরেন্য শিল্পীদের আঁকা শিল্পকলা। যুদ্ধকে প্রতিহত করে বিজয় এনে দিয়েছে এই শিল্পকলা। তাইতো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার ভূমিকা জানতে হলে প্রথমেই আলোচনার প্রয়োজন, শিল্পকলা কি ? এবং মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে কি কি ভূমিকা রেখেছে।

শিল্পকলা :

শিল্প হচ্ছে নন্দন তত্ত্ব বা আর্ট যার দ্বারা সুন্দরকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এখানে সমাজের অনুভূতি ভাবগাম্ভির্যতা বা ভাবার্থ প্রকাশ করা হয়। নে তা সবার কাছে গ্রহন যোগ্যতা পায় এবং তা আনন্দদায়ক ও হয়ে থাকে। আর কলা হচ্ছে কৌশল যে কৌশল অবলম্বন করে আমরা শিল্পকে শিল্পের সঠিক ভাবার্থ প্রকাশের মাধ্যমে একে অর্থবহ করতে পারি। সমাজে শিল্পকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে এই কৌশল অবলম্বন করা হয়। আর শিল্পকলা মূলত একটি অনুভূতিজাত বিষয়।

এখন তাহলে আসা যাক, মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে কি কি ভূমিকা রয়েছে এ সম্পর্কে; বিস্তারিত নিম্নে আলোচিত হলো :

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ :

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মানেই ১৯৭১ সাল আর তার সাথে জড়িত ৫২’র ভাষা আন্দোলন; ৬৯’র গণ অভ্যুথান; ও ১১ দফা আন্দোলন; আর এইসব আন্দোলনক সামনে রেখে প্রতিবাদী মিছিল এসব মিলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।

আলোচনা :

দেশ বিভাগের পর হতেই ধরা যাক, ১৯৪৭ সালে এ দেশের শিল্পীদের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে শিল্পচর্চা করতে হয়েছে। শুরুতে কলকাতা আর্ট স্কুলে শিক্ষা লাভ করা শিল্পীরা পূর্ব পাকিস্তানে এসে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়। এই বাধা ছিলো ধর্মযি কারনে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়। তথাপি এদেশের শিল্পীরা তাদের শিল্পচর্চা অব্যাহত রাখেন ও এদেশে শিল্পকলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। শিল্পকলা প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে অধিকার বাঙ্গালীর মেলেনি। আর তাই বাঙগালীর ভাষা আন্দোলনে আমরা লক্ষ্য করি শিল্পীদের প্রতিবাদী হতে। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান প্রভৃতি সকল রাজনৈতিক আন্দোলনেই পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ও ব্যঙ্গ-চিত্র এঁকেছেন সেকালের প্রতিবাদী শিল্পীরা। আাঁকতেন যেসব ছবি সেগুলোর শিরোনাম হতো ‘মিছিল’ ‘াসহযোগ’ ‘প্রতিবাদ’ ‘আমাকে চিৎকার করতে দাও’ প্রবৃতি। এ ক্ষেত্রে ব্যপক সাড়া জাগায় শিল্পী কামরুল হাসানের পোস্টার ”এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে”। তখন ইয়াহিয়া খানের প্রতিকৃতি এঁকেই শিল্পী কামরুল হাসান বিদ্রোহে যান সরাসরি। ৫২ সালেপূর্ব বাংলা পরিষদের সভায় রাষ্ট্র উর্দূ ভাষা করার পায়তারা হয়। সভা শেষে প্রায় ৫০০০ ছাত্রছাত্রী ‍বিশাল মিছিল করে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে। সামনে প্রচারের ভূমিকায় কার্টুন সম্বলিত পোস্টার ও ফেস্টুন। তৎকালীন সরকারের ব্যঙ্গ প্রতিকৃতি তখন স্বাধীনতা হরন নিয়ন্ত্রন আইন করা হয়। সেই কালো কানুনের বিরুদ্ধে অনেক পোস্টার হয়। ১টি পোস্টারে একজন মানুষের মুখ বাধা তাকে কথা বলতে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং অন্যটি খাজা নাজিম উদ্দিনের ব্যঙ্গ প্রতিকৃতি এই পোস্টার দুটি মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ প্রভাব ফেলে।

২১শের পূর্বে রাষ্ট্রভাষা জোরদারের জন্য কামরুল হাসানের নেতৃত্বে কাইয়ুম চৌধুরী, মুর্তজা বশীর আরো অনেকেই চিত্র প্রদর্শনীর জন্য ছবি আঁকেন। ঢাকাসহ সারাদেশে সবধরনের মিছিল সভা শোভযাত্রা সহায়ক একমাত্র পোস্টার।

শিল্পকলায় মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব ‍:

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সমকালীন বাংলাদেশী শিল্পীদের এক যৌথচিত্র প্রদর্মনী সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার বিড়লা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলার পর এই চিত্রগুলি ভারতের রাজধানী দিল্লীতে প্রদর্শীত হয়। এই প্রদর্শনীটির আয়োজক ছিলেন “বাংলাদেশ সহায়ক শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবি সমিতি”। এখানে ১৭ জন শিল্পরি মোট ৬৬ টি চিত্রকর্মের উল্লেখ রয়েছে। শিল্পীরা হলেন


১. আবুল বারক আলভী

২. অঞ্জন বণিক

৩. বরুন মজুমদার

৪. বিজয় সেন

৫. বীরেন সোম

৬. চন্দ্র শেখর দে

৭. দেবদাস চক্রবর্তী

৮. গোলাম মোহাম্মদ

৯. হাসি চক্রবর্তী

১০. মুস্তফা মনোয়ার

১১. নাসির বিশ্বাস

১২. নিতুন কুন্ডু

১৩. প্রাণেশ মন্ডল

১৪. কামরুল হাসান

১৫. কাজী গিয়াস উদ্দিন

১৬. রঞ্জিত নিয়োগী

১৭. স্বপন চৌধুরী


প্রদর্শনীর চিত্রগুলির বিষয়বস্তু মূলতঃ তৎকালীন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শিল্পকলা :

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিল্পকলাকে প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা যায়, একটি মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও অপরটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শিল্পকলা। প্রথম ভাগের শিল্পকর্ম মূলত‍ঃ পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। আর পরবর্তী ভাগের শিল্পকর্ম শিল্পকলার প্রায় সকল মাধ্যমেই কম বেশী সৃষ্টি হয়েছে।

নিম্নে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিছু শিল্পকর্মের কথা উল্লেক করা হলো :

মুক্তিযোদ্ধা - শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন

এই জানোয়ারকে হত্যা করতে হবে - কামরুল হাসান

বিজয় - রফিকুন নবী

প্রতিবাদ - কাইয়ুম চৌধুরী

স্বাধীনতা - কাইয়ুম চৌধুরী

বাংলাদেশ ৭১ - কাইয়ুম চৌধুরী

বাংলার বিদ্রোহ - রশিদ চৌধুরী

অপরাজেয় বাংলা - সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ

স্মৃতি-৭১ - সুলতানুল ইসলাম

২৬শে মার্চ ১৯৭১ - কালিদাস কর্মকার

ইত্যাদি আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহনের প্রেক্ষিতে আব্দুর রাজ্জাক, মুর্তজা বশির, রশিদ চৌধুরী, ইমদাদ হোসেন প্রমুখের অঙ্কিত পোস্টার ভাষা আন্দোলনের শৈল্পিক দলিল। ভাষা আন্দোলনকে বিষয় করে মর্তুজা বশিরের ড্রইং ও লিনোকাট বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ম্যুরাল উজ্জ্বল ও অসাধারণ শিল্পকর্ম। হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদের নকশাকৃত শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের অমর শিল্পকৃতি।

বাংলাদেশে কোনো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাস্তর্য নির্মাণ সম্ভবতঃ প্রথম ঘটে ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৫ এ নেত্রকোনায় কমিউনিস্ট পার্টি আয়োজিত সারা ভারত কৃষক সম্মেলনে কৃষ্ণ নগরের কারিগর লক্ষীপাল, হাজং কমরেড হৃদয়কে মডেল করে ৮ ফুট উঁচু একটি খড়-মাটির ভাস্কর্য নির্মাণ করেন যা এক যুবার প্রতিকৃতি, মুক্তি প্রয়াসী, হাতের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলেছে, পায়ের শৃঙ্খল ভাঙ্গতে উদ্যত। এখানে বিদ্রোহের ভাষা প্রকাশ পায়।

মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রথম ভাস্কর্য “মুক্তিযোদ্ধা”। শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭২ সালে এটি নির্মান করেন এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তায় স্থাপন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীক ভাস্কর্যের পথিকৃত আনোয়ার জাহান। ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে মুক্তি সংগ্রামকে কেন্দ্র করে তিনি নির্মাণ করেন “স্ট্রাগল“ নামক ভাস্কর্য।

আব্দুল্লাহ খালিদ নির্মিত “অপরাজেয় বাংলা” নামক ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

স্বাধীনতার উত্তর বাংলাদেশে কয়েকটি ভাস্কর্য-

অপরাজেয় বাংলা - আব্দুল্লাহ খালিদ

অঙ্গীকার - আব্দুল্লাহ খালিদ

দরজা - হামিদুজ্জামান খান

হামলা - হামিদুজ্জামান খান

সংশপ্তক - হামিদুজ্জামান খান

জাগ্রত বাংলা - হামিদুজ্জামান খান

অনুশীলন - আব্দুর রাজ্জাক

স্বোপার্জিত স্বাধীনতা - শামীম সিকদার

রিলিফ ভাস্কর্য - রাসা সিদ্দীকি

সাবাস বাংলাদেশ - নিতুন কুন্ডু

এছাড়া ১৯৭৬ সালে প্রথম জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে আনোয়ার জাহানের ভাস্কর্য ‘টর্চার’ উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য ভাস্করদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আধুনিকতা ও নিজস্বতার সমন্বয়ে ভাস্কর্য নির্মানের প্রয়াস উল্লেখযোগ্য। পোড়া মাটির ব্যবহারের অনন্যতায় অলক রায়ের ভাস্কর্য বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় এক ভিন্ন মাত্রা। তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র তাড়িত ও বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের শিকার একটি দেশে সংগ্রাম ও সংগ্রামী জনতার বাংলার মুক্তি সংগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষনের শৈল্পিক রুপ, যা উপস্থাপনা, শৈলী এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভাস্কর্যে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে।

অন্যান্য ভাস্কর্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য :

নারী দশক, স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে, বায়ান্ন-একাত্তর - মৃণাল হক

স্মৃতি-৭১, জীবন বৃত্ত - সুলতানুল ইসলাম

৭১, ৫২ ও রথযাত্রা - মাহবুবুর রহমান

বুদ্ধিজীবি হত্যা - মেহরাব আলী

ব্যর্থ স্রষ্টার উল্লাস - রেজাউজ্জামান রেজা

৭১ এর নারী ধর্ষণ, মিছিল - শহীদুজ্জামান

কম্পোজিশন, মানুষ ও কুকুর - তৌফিকুর রহমান

প্রত্যাখানের আন্দোলন - আ.র.ম আজাদ

মূলত মুক্তিযুদ্ধের চিত্রকে মনে রাখতেই যুদ্ধ পরবর্তী শিল্পকলাকে তৈরী করা হয়েছে। যেন কালের স্রোতে হারিয়ে না যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের এই বার্তা।

মন্তব্য :

উপরোক্ত আলোচনা হতে, আমরা মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার প্রভাব সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত ধারনা পেলাম। উক্ত আলোচনায় মুকিাতযুদ্ধের পূর্ববর্তী অবস্থায় শিল্পকলার ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে শিল্পকলার ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় হতে বহমান বাংলার শিল্পকলার ভূমিকা হতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার প্রয়োজনীয়তা বরাবরই প্রযোজ্য ছিলো এবং তা বর্তমানেও বিরাজমান। সেই সাথে তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের ফলক স্বরুপ পথ প্রদর্শন করে যাবে।

উপসংহার :

পরিশেষে বলা যায় যে, বিদ্রোহের হাতিয়ার হিসেবে সহায়কের ভূমিকা পালন করে শিল্পকলা। এর ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে দেশ এবং পরিশেষে বিজয় অর্জন করে। ফলে আমরা পাই স্বাধীন দেশ, পাই নিজস্ব ভাষার স্বীকৃতি। এটাইতো শ্রেষ্ঠ অর্জন। আর এই ‍অর্জনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে হাতিয়ার হিসেবে শিল্পকলা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও যেন যেকোন সংগ্রামের সিড়িতে হোচট না খেয়ে বিদ্রোহের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহন করে শিল্পকলাকে। তবেই সার্থক হবে মুক্তিযুদ্ধে শিল্পকলার ভূমিকা।